পটুয়াখালীর গলাচিপায় গাবুয়া টু গাবুয়া খেয়াঘাটের দক্ষিন পাড়ে রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে জনগণ। এই খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ পারাপার হয়ে থাকেন।
গ্রামের দু’পাড়ের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই খেয়াঘাটটি। উপজেলার কোল ঘেঁষে রামনাবাদ নদীর শাখা গাবুয়া নদী পারাপারের এই গুরুত্বপূর্ণ খেয়া ঘাটটির দক্ষিন পাড় কাঁচা হওয়ায় সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের গাবুয়া, নলুয়াবাগী, আমতলী উপজেলার গাজীপুর, সোনাখালী, আঠারোগাছিয়া, হলুদিয়া গ্রামের মানুষ এই খেয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হন। জনগুরুত্বপূর্ণ এই ঘাটটির দক্ষিন পাড় কাঁচা।
তাই দক্ষিন পাড়ে ওঠা নামা করা কষ্টকর। এ পাড়ে খেয়ার ইঞ্জিনচালিত নৌকা তীরে না ভিড়তে পারায় মানুষগুলোকে কাঁদা-পানিতে ভিজে নৌকায় উঠতে হয়। মোটরসাইকেল ও বাই সাইকেল পারাপার করতে গেলে এসব নৌকায় ওঠানামা খুব কষ্টসাধ্য। নৌকায় থাকা কাঠের তক্তা দিয়েই ওঠা নামা করতে হয়। গাবুয়া গ্রামের মোটরসাইকেল চালক মো. হাবীব মিয়া, জুয়েল, আ. রহিম, নাসির এরা বলেন, আমরা মোটরসাইকেল চালাই। প্রায় সময়ই গলাচিপা থেকে আমতলী আবার আমতলী থেকে গলাচিপা আসতে হয়। এই খেয়া পাড় হয়ে গেলে আমাদের সময় এবং পথ দুটোই কমে যায়।
কিন্তু খেয়ায় উঠতে গেলে মোটরসাইকেল নদীতে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। মাঝে মাঝে ছোট খাটো দুর্ঘটনাও ঘটে। তাই এখানে খেয়ায় ওঠার রাস্তাটি হওয়া খুবই জরুরী। এতে আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের উপকার হতো। এ বিষয়ে গাবুয়া টু গাবুয়া খেয়াঘাটের দায়িত্বে থাকা নজরুল মিয়া ও মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার জানান, প্রতি নিয়ত এ খেয়া দিয়ে হাজারো মানুষ পাড় হচ্ছে। দক্ষিন পাড়টি কাচা হওয়ায় মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও মহিলারা বেশি সমস্যায় পড়েন। আমরা সরকারীভাবে এ খেয়ার ডাক নিয়েছি।
কর্তৃপক্ষের কাছে দক্ষিন পাড়ের রাস্তা করার জন্য অনুরোধ করছি। এ খেয়াঘাটের ইজারাদার মো. মস্তফা মাতব্বর বলেন, দক্ষিন পাড়ে রাস্তা হলে যাত্রীসহ আমরা সকলে সুবিধা ভোগ করতে পারব। অনেকে বাধ্য হয়ে এ খেয়া পার না হয়ে অন্য পথ বেছে নেন। এতে আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। কর্তৃপক্ষের কাছে দক্ষিন পাড়ের রাস্তা করার জন্য আমরা বলেছি।
এর একটু সুরহা যত দ্রুত হবে ততই মঙ্গল। এ বিষয়ে গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার জানান, ‘গাবুয়ার উত্তর পাড়ে রাস্তা আছে কিন্তু দক্ষিন পাড়ের খেয়াঘাটটি কাঁচা হওয়ার কারণে নদী পার হতে সাধারণ মানুষের খুব ভোগান্তি হয়। সমস্যা সমাধানে বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে ভালো হয়।’